১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন
বনসাই গাছের চারপাশ ও টবটি নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। গাছের নীচে মাটি ও পাতা পরিষ্কার রাখলে পিঁপড়ে ও পোকামাকড়ের বসবাসের সুযোগ কমে যায়।
২. ন্যাচারাল কীটনাশক ব্যবহার করুন
পিঁপড়ে ও কীটপতঙ্গ প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, নিম তেল বা লেবু রস পানির সাথে মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে পারেন। এটি পরিবেশ বান্ধব এবং গাছের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৩. পিঁপড়ের প্রবেশপথ বন্ধ করুন
বনসাই গাছের পাত্র বা টবের আশপাশে যদি পিঁপড়ের রাস্তা থাকে, তাহলে সেই পথগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করুন। আপনি তালের গুঁড়ো বা দারুচিনির গুঁড়ো ছিটিয়ে রাখতে পারেন, যা পিঁপড়ের আসা কমাতে সাহায্য করে।
৪. তেলাপোকা ও মাকড়শার জন্য সাবধানতা
অনেক সময় ছোট ছোট তেলাপোকা ও মাকড়শাও বনসাই গাছের আশপাশে বাসা বাঁধে। এদের প্রতিরোধে অল্প পরিমাণে সাবান পানি স্প্রে করা যেতে পারে, তবে খেয়াল রাখুন যেন গাছের ক্ষতি না হয়।
৫. বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন
গাছের আশপাশে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকলে, পোকামাকড়ের সংখ্যা অনেকাংশে কমে যায়। ঘরের এমন একটি স্থানে গাছটি রাখুন যেখানে পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস পৌঁছায়।
৬. নিয়মিত মাটি পরিবর্তন করুন
বনসাইয়ের টবের মাটি নিয়মিত পরিবর্তন করা উচিত। এতে পোকামাকড়ের ডিম বা কীট মাটির মাধ্যমে গাছে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।
৭. গাছের পাতা পর্যবেক্ষণ করুন
গাছের পাতায় কালো বা সাদা দাগ দেখা গেলে, বুঝতে হবে এটি কীটপতঙ্গের লক্ষণ। তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে সমস্যাটি বাড়তে না পারে।
বনসাই গাছ রক্ষণাবেক্ষণ করা কঠিন কাজ হতে পারে, কিন্তু কিছু সহজ কৌশল ব্যবহার করে আপনি সহজেই এটি পিঁপড়ে ও কীটপতঙ্গ মুক্ত রাখতে পারেন। নিয়মিত পরিচর্যা ও পর্যবেক্ষণ বনসাই গাছকে স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর রাখার অন্যতম চাবিকাঠি।
আপনার গাছ ভালো থাকুক, সবুজ থাকুক!